BBC Fun n Facts
বিবিসির সংবাদ পাঠক যদি বলতেন আগামি এত তারিখ হরতাল, জনগণ তা মেনে নিয়ে হরতাল পালন করতো। ফলে বিবিসি পরিবেশিত ফেক নিউজও কখনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। এই সংবাদ বিভাগের টুকরো ঘটনা নিয়েই BBC Fun n Facts এর আয়োজন।

BBC Fun n Facts এ আমরা জানবো বিবিসির মজার দু’টো ঘটনার কথা। বিবিসির ১৯৩০ সালের এ ঘটনা মজার হলেও এটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। কারন ঘটনা দু’টোই বিবিসি সংবাদ বিভাগের। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক।

বিশ্ব সংবাদ ও বিবিসি, যেন প্রতিশব্দ। সংবাদ পরিবেশনে চরম পেশাদারিত্বের জন্য বিবিসি এই সম্মান লাভ করেছে নিঃসন্দেহে। সংবাদ পরিবেশনায় বিবিসি’র সুনাম নিয়ে কখনও কোন প্রশ্ন ছিলনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিবিসি’র কথা ইতিহাসের পাতায় পাতায়। যদিও বর্তমানে উচ্চারণ ও প্রমিত বাংলা নিয়ে বিবিসি প্রশ্নের মুখে, কিন্তু তার পরেও বিবিসি’র খবর মানে সঠিক খবর। এমনকি রাজনৈতীক প্রপাগান্ডা তৈরীতেও বিবিসি ছিল অদ্বিতীয়। বিবিসির সংবাদ পাঠক যদি বলতেন আগামি এত তারিখ হরতাল, জনগণ তা মেনে নিয়ে হরতাল পালন করতো। ফলে বিবিসি পরিবেশিত ফেক নিউজও কখনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। এই সংবাদ বিভাগের টুকরো ঘটনা নিয়েই BBC Fun n Facts এর আয়োজন।

BBC Fun n Facts : বিবিসি সংবাদ

সংবাদ পাঠকের এই গ্রহণযোগ্যতার জন্য বিবিসি’র কঠোর অনুশাসন নেপথ্যে কাজ করতো। এমনকি ১৯৩০ সালেও বিবিসি’র সংবাদ পাঠকদের যেমন ছিল আকাশচুম্বি সম্মান তেমনি ছিল পাহাড় সমান চাপও। সে সময়ে স্ক্রিপ্ট যেমন হতে হতো যথাযথ রচনাশৈলী’র। তেমনি পড়তেও হতো সঠিক উচ্চারণ ও সাবলিলতার সাথে। (বিবিসি বাংলায়, আজকাল অবশ্য এসবের আকাল খুঁজে পাওয়া যায় হরদম)। সবকিছু হতে হতো ‘পারফেক্ট’।

এটা এতই প্রকট ছিল যে, বিদেশি কোন নেতার নামের সামান্য ভুল উচ্চারণ শুধু সংবাদ পাঠকের না, তার পরিবারের জন্যও ছিল লজ্জার। এখানেই শেষ নয়, সংবাদ পাঠককে সবসময় থাকতে হতো উৎফুল্ল্, যাকে বলে proper frame of mind। বিশ্বাস করুন আর না করুন, সংবাদ পাঠের সময় তাদের পড়তে হতো বিশেষ ধরণের জ্যাকেট (tuxedo) যদি রেডিও তে সংবাদ কেবল শোনা যায়, দেখা যায়না। এখানে appearances ই মূখ্য ও শেষ কথা।   

সংবাদ নেই : BBC Fun n Facts 1930

সংবাদ পাঠ ও পাঠকের এত সাজসাজ রব থাকলেও ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল ইতিহাস হয়ে আছে। রাত ৮টা ৪৫ এর খবর হয়ে ওঠে এই ইতিহাস। শ্রোতারা রেডিও অন করলে শুনতে পান এক লাইনের একটি ঘোষনা। পাঠক ঘোষনা করেন, ’আজ পরিবেষনের জন্য কোন খবর নেই’ (There is no news today)।

এরপর খবরের পুরো ১৫ মিনিট শোনানো হয় পিয়ানোর সুর। এরপর লন্ডনের কুইন্স হল থেকে প্রচার করা হয় অপেরা সঙ্গিত।

দিনের বাকী অংশের অনুষ্ঠানের ধারাহিকতাও নষ্ট হয়। নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের পরিবর্তে প্রচারিত হয় কবিতা পাঠ, আবহাওয়া বার্তা ও অন্যান্য আলোচনা। কেন এটা হয়েছিল তা আজও অজানা। তবে প্রতি বছর এটি No News Day হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।

QSL রঙ্গ : BBC Fun 1937

বিবিসি হাউসে একটা ছোট্ট জিম (ব্যায়ামাগার) ছিল যেখানে তারা তাদের মানষিক চাপ কমানোর জন্য কিছু সময় কাটাতেন পারতেন। আর এই অনুশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখাতেও ভুল করতেন না। ১৯৩৭ সালেও বিবিবি’র সংবাদ পাঠকদের এই অবসরকালীন ক্রিয়াকলাপ নিয়ে একটা QSL শ্রোতাদের পাঠানো হয়। এই QSL এ দেখা যায় শুধুমাত্র অন্তরবাস পরে সংবাদ পাঠকেরা বিভিন্ন ভঙ্গিমাতে দাড়িয়ে আছেন।

পাঁচদিনে অল্প কিছু শ্রোতাদের QSL পাঠনো হয়। মজার কথা, এ QSL শুধুমাত্র প্রকৌশল বিভাগ তৈরী করে, তাও আবার ম্যানেজমেন্টকে না জানিয়ে। সংবাদ পাঠক ও প্রকৌশলীদের অনুশাসন ভঙ্গের এই ঘটনায়, ম্যানেজমেন্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং সব QSL পুড়িয়ে ফেলা হয়। বৃটিশ ডাক বিভাগের সহায়তায় বেশ কিছু QSL জব্দ করা হয়। তারপরও কিছু QSL শ্রোতাদের হাতে পৌচ্ছে গেলে বিবিসির এ অনুশাসনের বিষয়টা প্রকাশ হয়ে পড়ে।

[QSL রঙ্গ - সূত্র ও ছবি BLANDX এর সৌজন্যে পাওয়া। ছবির কপিরাইট BLANDX co-founder Elmer Dixon এর] 

EXPLORE MORE
expert-icon1
SCHEDULES

Update Soon.

expert-icon2
DX and Quiz

Comming Soon.

expert-icon3
ABC of DXing

Visit for Details